শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বরগুনায় বর্ষাকালীন তরমুজ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় বর্ষাকালীন তরমুজ

বরগুনায় বর্ষাকালীন তরমুজ ব্লাক ডায়মন্ড, কারিশমা, রঙিলা ও রংধনু জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ভিন্ন রং, মাঝারি আকার ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে তৃণমূল পর্যায়ে মাচায় (মাচাং পদ্ধতিতে, নিচে মাছ ওপরে তরমুজ) বাণিজ্যিকভাবে এ তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। শহরেও শৌখিনভাবে এ তরমুজ চাষ করছেন অনেকে। ২০২০ সালে তালতলীর সওদাগর পাড়ার কৃষক শাহাদাৎ মাতুব্বর ৩৩ শতাংশ এবং বরগুনার কালিকতবক গ্রামের কৃষক আ. মান্নান ৪০ শতাংশ জমিতে এ জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হলে কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা সদর উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০টি বর্ষাকালীন তরমুজ খেত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালতলী উপজেলায় ১৫টি, আমতলীতে সাতটি, বেতাগীতে চারটি, বামনায় দুটি, পাথরঘাটায় পাঁচটি। এ ছাড়া শৌখিনভাবেও অনেকে এ তরমুজ চাষ করেছেন।

এ বছর বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের কৃষক জুলহাস এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে ইউটিউবে শাইখ সিরাজের একটি প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত নেই এ তরমুুজ চাষের। ৮০ শতাংশ জমিতে আমার ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পিস তরমুুজ খেতে আছে। প্রতিটির ওজন দুই-তিন কেজি। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি শুরু করতে পারব। খরচ বাদ দিয়ে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ থাকবে।

তালতলীর সওদাগর পাড়ার কৃষক শাহাদাৎ মাতুব্বর বলেন, আমাদের গ্রামে সাত-আটজন কৃষক একত্রে এ তরমুুজ চাষ করেছি। আমাদের তরমুুজ বরিশাল ও পটুয়াখালী মোকামে সরাসরি যাচ্ছে। পরিশ্রম বেশি হলেও লাভ অনেক।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক এ এস এম বদরুল আলম বলেন, বরগুনায় কৃষকদের বর্ষাকালীন তরমুজ চাষের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজারে এ তরমুজের চাহিদা বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর