বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

টেস্টের রিপোর্ট পেয়ে বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেস্টের রিপোর্ট পেয়ে বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড

রবিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে। গতকালও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। রক্ত নেওয়া হয়েছে একাধিকবার। আজ বুধবার সে পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট হাতে আসার পর বৈঠকে বসবেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। তারপর জানা যাবে তাঁর স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থাটা কী।

তবে সোমবারের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী জানা গেছে, লিভার সিরোসিসের কারণে অনেকটা জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। শরীরে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। অর্গানগুলো ওঠানামা করছে। বিদেশে উন্নত হেলথ সেন্টারে নিতে না পারায় তাঁর লিভার সিরোসিসের চিকিৎসাটা এখানে সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে দিন দিন জটিলতা তৈরি হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিনই বৈঠকে বসে বিভিন্ন রকমের গবেষণা করে এবং নানা কলাকৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন, যাতে করে বেগম খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ রাখা যায়। এ বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ ডে এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিদিনই কয়েকটি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই মূলত তাঁর চিকিৎসাটা এখানে করা হচ্ছে। বেশ কিছু জটিলতাও সৃষ্টি হয়েছে তাঁর শরীরে। অন্যথায় তো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো না। তাছাড়া মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে যে, লিভার সিরোসিসের মতো রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বাংলাদেশে হয় না। এ জন্য তাঁকে দ্রুত বিদেশের কোনো উন্নত হেলথ সেন্টারে নেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তো তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। এখন সবগুলো টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা শেষে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী করণীয় কী হবে। রবিবার রাতে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২২ আগস্ট খালেদা জিয়াকে গুলশানের ওই হাসপাতালে নিয়ে হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়।

সেগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড আরও কয়েকটি পরীক্ষার জন্য জরুরিভিত্তিতে তাঁকে হাসপাতালে নিতে বলেছে। সে জন্য তাঁকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে বেগম খালেদা জিয়ার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তাঁর সাজার রায় আসে। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁকে দেশেই থাকতে হবে এবং বিদেশে যাওয়া যাবে না।

সর্বশেষ খবর