সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
মায়ের পেটে গুলি

অন্যতম আসামির রহস্যজনক মৃত্যু

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় সাত বছর আগে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়া ও মোমিন ভুইয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ আলী (৪৫) গত শনিবার গভীর রাতে মারা গেছেন। হঠাৎ তার মৃত্যু নিয়ে পরিবার-পরিজনদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।

চিকিৎসক বলছেন, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবার দাবি  করছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলীর ভাই ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, তার ভাই মোহাম্মদ আলী গত শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। এ সময় খোঁজ নিতে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। শেষ রাতে মোহাম্মদ আলীর ছেলে লিমন জানায়, তার বাবা স্ট্রোক করেছে। তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানিয়েছে, হাসপাতালে আনার ১ ঘণ্টা আগে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। ফারুক হোসেন দাবি করছেন, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। 

তবে এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করে মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রী রিনা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার খালাতো বোনের বাড়িতে অবস্থান করাকালীন রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ায় স্বামীকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’ মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু পরিবার থেকে এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করছে, সে কারণে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় শহরতলির দোয়াপাড় এলাকায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাড়ে সাত মাসের গর্ভবতী গৃহবধূ নাজমা বেগম ও বৃদ্ধ আবদুুল মোমিন ভুইয়া। এ সময় তার গর্ভে থাকা শিশুটিও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে মা ও গর্ভে থাকা শিশুটির জীবন বাঁচান। অন্যদিকে ২৪ জুলাই মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধ আবদুুল মোমিন ভুইয়া রাতে মারা যান। ঘটনাটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছিল।

সর্বশেষ খবর