সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
বেনাপোল সীমান্ত

এক মাসে উদ্ধার ১৫ কেজি ৯১৫ গ্রাম সোনা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থানের পরও একের পর এক ধরা পড়ছে সোনার বার। সেই সঙ্গে আটক করা হচ্ছে পাচারকারীদের। বিজিবির শক্ত অবস্থানে গত এক মাসে শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ কেজি ৯১৫ গ্রাম সোনা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ সময় আটক করা হয়েছে ৯ পাচারকারীকে। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে পাচারের সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা।

শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত থেকে ৯ পিস সোনার বার (২ কেজি ৩৩৩ গ্রাম) এবং একটি মোটরসাইকেলসহ উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের মিয়ারাজ আলীর ছেলে শুকুর আলীকে (৪৫) আটক  করে বিজিবি। ৭ সেপ্টেম্বর পুটখালী বিওপির একটি টহল দল বেনাপোল সীমান্তের ইয়াপুর গ্রাম থেকে ১.১৬৬ কেজি ওজনের ১০ পিস সোনার বার ও একটি মোটরসাইকেলসহ খলসী গ্রামের রমজান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান এবং আবু বক্করের ছেলে আক্তারুল ইসলামকে আটক করে।

১০ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা বাজার এলাকা থেকে ৩০ পিস ৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম ওজনের সোনার বারসহ বালুন্ডা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আশিকুর রহমানকে আটক করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী-বালুন্ডা সড়ক থেকে ২ কেজি ৩৩৩ গ্রাম ওজনের ২০টি সোনার বারসহ কাগজপুকুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেনকে আটক করে বিজিবি। ২০ সেপ্টেম্বর গোগা বাজারের উত্তর পাশে একটি ইটভাটার কাছে থেকে ১ কেজি ৬৫২ গ্রাম ওজনের ১৫ পিস সোনার বার ও একটি মোটরসাইকেলসহ পুটখালী গ্রামের আলী কদমের ছেলে জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।

 

২৭ সেপ্টেম্বর রুদ্রপুর সীমান্তের আজগর আলীর আমবাগান থেকে ভারতে পাচারের সময় ১.২৩৩ কেজি ওজনের ১০ পিস সোনার বারসহ গোগা গ্রামের মৃত কালাম হোসেনের ছেলে সাকিবকে আটক করে বিজিবি।

২৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের ১ পিস ও মালিপোতা গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ১৮ পিস সোনার বারসহ সোহানুর রহমান বিশালসহ দুজনকে আটক করে বিজিবি, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান ও নজরদারি রয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাতে একটি সোনার বারও দেশের বাইরে পাচার না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখছেন বিজিবি সদস্যরা। দেশের সোনা দেশেই থাকবে। এগুলো আমরা দেশের বাইরে কখনো যেতে দেব না। সীমান্তে পাচার রোধে বিজিবি সব সময় শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেও তিনি জানান। খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি জানান, সোনা পাচারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও আস্তে আস্তে তাদের চালানগুলো আটক করে তাদের সর্বস্বান্ত করে দেওয়া হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে সোনা চোরাচালান সীমান্ত থেকে নির্মূল করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর