শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আখাউড়ায় মাঠে মাঠে ধান কাটার ধুম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আখাউড়ায় মাঠে মাঠে ধান কাটার ধুম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাকা ধান আর ধান। শেষ হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠে ভরা সোনালি পাকা ধান। সর্বত্র এখন ধান কাটার ধুম। এরই মধ্যে কেউ ধান কাটছেন, কেউ বা কেটে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলছেন, আবার কেউ কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা ধান কেটে মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে কৃষানিরাও বসে নেই, তারাও ধান শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজে সাহায্য করছেন। ফলন ভালো ও বিক্রিতে দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো রোগবালাইয়ের আক্রমণ দেখা না দেওয়া ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। 

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এ উপজেলায় বি-আর ২৮, বি-আর ২৯, হীরা, হাইব্রিড ৭৫, ৮১, ৯১, সবুজ সাথী, এসএলএইডএইচ, জাগরণীসহ উচ্চফলনশীল ধান চাষ করা হয়। তারাগন এলাকার কৃষক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, এ মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করা হয়। এ পর্যন্ত ৪ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় তিনি ২০-২২ মণ ধান পেয়েছেন। মোগড়া এলাকার মো. হামদু মিয়া জানান, এ মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের  ধান আবাদ করেন। প্রথমে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ধান নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েন। এরপর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শেষ পর্যন্ত বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো ও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিপাত হলেও সময় মতো পানি চলে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর