বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভারত থেকে পাইপ লাইনে পেট্রোলিয়াম পণ্য ফেব্রুয়ারিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য পরিবহনের জন্য পাইপলাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় আসছে ফেব্রুয়ারি থেকে এ পাইপলাইন ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ। এতে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

 ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। সচিবালয়ে গতকাল দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠককালে এ তথ্য জানান ভারতের হাইকমিশনার। ভারতের হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ভলো বন্ধু। ভারত সরকার সবসময় বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আকাশপথের পাশাপাশি সড়ক ও নৌ পথে যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। ভারতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, রেলপথে কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের কারণে উভয় দেশ উপকৃত হয়েছে। সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের ফলে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। আশা করা যায় আগামী দিনগুলোয় উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র এবং বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বাণিজ্য সহজ করলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি অনেক বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমবে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করতে সক্ষম। এজন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য জটিলতা দূর করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ডার হাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সেভেন সিস্টারস খ্যাত রাজ্যগুলোর মানুষ উপকৃত হয়েছে। এতে উভয় দেশের মানুষ খুশি। ভিসা ইস্যু সহজ হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। এতে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী, এজন্য ভারত সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর