শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেলায় বাড়ছে দর্শনার্থী

জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

মেলায় বাড়ছে দর্শনার্থী

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে পয়লা জানুয়ারি। ঢাকার বাইরে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে চলছে এ মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন।

গতকাল চতুর্থ দিনে সরেজমিনে মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। তবে শীতের তীব্রতায় মেলায় লোকজন এখন কম আসছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। সকালের তুলনায় বিকালে লোকসংখ্যা বেশি হয়। মেলায়  শীত পণ্য, আইসক্রিম ও খাবার দোকানে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। শীতেও আইসক্রিমের দোকানে ভিড় দেখা গেছে। সেভয় আইসক্রিমের বিক্রয় কর্মকর্তা নাদিরা ইসলাম ইকরা বলেন, বেচাকেনা সন্তোষজনক। মেলাতে আইসক্রিম অনেকটা সখের খাবার। সখ করেই ছোট-বড় সবাই আইসক্রিম খায়।

ফরেন প্যাভিলিয়নের কাশ্মীরি শাল ব্যবসায়ী মো. প্রিন্স জানান, বেচাকেনা খারাপ না। ভালো সাড়া পাচ্ছি। সামনে আরও ভালো হবে আশা করি। মিনিস্টার হাইটেক পার্কের ব্র্যান্ড প্রমোটর মমিনুল ইসলাম জয় বলেন, চার দিনে ৬ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। সামনে বিক্রি আরও বাড়বে আশা করি। আমাদের টার্গেট দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করা। পণ্যের দাম ও মেলা উপলক্ষে বিশেষ আকর্ষণীয় অফার খুবই কম বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন। গুলশান থেকে আসা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পণ্যের দাম বেশি মনে হচ্ছে। এ ছাড়া মেলা উপলক্ষে বিশেষ কোনো ছাড় লক্ষ্য করা যায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলাতে প্রথম দিকে লোকজন একটু কম থাকে। এ ছাড়া তীব্র শীতের কারণে লোকজন সকালে কম এলেও দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়ে। মেলা উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িল থেকে ৫০টি বিআরটিসি সাটল বাস দেওয়া হয়েছে, বাসগুলো চলাচলের জন্য ৩০০ ফুট রাস্তা এখন পুরো ফিট। ছুটির দিনসহ সামনের দিনগুলোতে মেলায় দর্শনার্থী ও বেচাকেনা বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবারের বাণিজ্য মেলায় ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১২টি দেশের ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৪২টি প্যাভিলিয়ন, ৩১টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৩৮টি জেনারেল স্টল এবং ২৩টি খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী প্যাভিলিয়নের সামনে ও পেছনের উন্মুক্ত জায়গাতেও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্যাভিলিয়নের মাঝখানে এবারও রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন স্মৃতি চিহ্ন ও জীবন কাহিনির বিভিন্ন স্থীর চিত্র রয়েছে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবেশ ফ্রি। প্রদর্শনী কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর