বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাফারি পার্কে প্রথম বারের মতো ফুটল ছয় কুমির ছানা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

সাফারি পার্কে প্রথম বারের মতো ফুটল ছয় কুমির ছানা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো কুমির ছানার জন্ম হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ছয়টি ছানার জন্ম হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে। ডিম থেকে ফোটার পরই ছানাগুলো পানিতে নেমে যায়।

এদিকে পাচার হওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করা চারটি গ্রিভেট বানরেরও ঠাঁই হয়েছে সাফারি পার্কে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সাফারি পার্কে বর্তমানে ১০টি লোনা পানির কুমির ও ছয়টি মিঠাপানির কুমির রয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা। পার্ক প্রতিষ্ঠার পর বেশ কয়েকবার কুমির ডিম দিলেও তাতে ছানা ফোটেনি। তবে আশার আলো দেখা দিয়েছে ডিসেম্বরে। লোনা পানির একটি কুমির ডিমে তা দিলে তাতে ছয়টি ছানার জন্ম হয়। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর পার্কের কুমির বেষ্টনীতে ছানার জন্ম হওয়ায় সত্যিই আনন্দের।

এ ছানাগুলো জন্মের পরপরই পানিতে নেমে গেছে। জলাধার থেকেই সে তার খাবার গ্রহণ করছে। তবে ছানার জন্ম হলেও কতগুলো টিকে থাকবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরগুলোকে খাবার হিসেবে মুরগি দিয়ে থাকি। ছানাগুলোও জলাধার থেকে শেওলা ও ছোট মাছ খাবার হিসেবে গ্রহণ করছে। এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, ২২ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ মালি থেকে একটি কার্গো বিমানে করে গ্রিভেট বানর বাংলাদেশে নিয়ে আসেন আবু বকর নামের এক ব্যক্তি। প্রাণীগুলো অবৈধভাবে আমদানি করায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বানরগুলো জব্দ করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে ২৩ জানুয়ারি রাতে হস্তান্তর করে। পরে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ২৪ জানুয়ারি বিকালে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বানরগুলোকে পার্কের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নতুন পরিবেশে প্রাণীগুলোকে রেখে বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর