সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফসলের সমারোহ তিস্তার চরে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ফসলের সমারোহ তিস্তার চরে

তিস্তার বুকজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। দুই মাস আগেও যে নদীটি ছিল পানিতে টইটম্বুর। এখন সেই নদীর বালুচরে বিভিন্ন ফসলের সমারোহ। তিস্তার চরে ফসল চাষে বিপ্লব ঘটেছে। চারদিকে শুধু সবুজের হাতছানি। জানুয়ারিতেই পানিশূন্য তিস্তার বিস্তীর্ণ বালুচরে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন নদীপাড়ের মানুষ। জেগে উঠা চরে কৃষকরা চাষ করছেন আলু, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, পিঁয়াজ, রসুনসহ নানা শাকসবজি। তিস্তার বানের পানিতে নিঃস্ব মানুষগুলো এখন ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিস্তার চরজুড়ে ফসল আর ফসল। এসব ফসলের কাক্সিক্ষত বাজার মূল্য থাকলে ভালো দাম পাবেন বলে আশাবাদী চরাঞ্চলের কৃষকরা। সরেজমিন দেখা গেছে, চলতি বছর চরের বিস্তৃতি বেশি। কৃষকরা চরের পলি পড়া জমি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন। হাসি ফুটেছে তিস্তা পারের কৃষকের ঘরে ঘরে। এ বছর তিস্তায় ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি চরে পরিণত হয়েছে। যার মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ফসলের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের থেকে ৫০০ হেক্টর বেশি। বাজার মূল্য ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে তিস্তার চর থেকে ২৯২ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৭ টাকা কৃষিপণ্য বিক্রি হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার চাষাবাদে তাদের খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। সার, ডিজেল আর কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা কতটা লাভবান হতে পারবেন এ নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তারা বলছেন, কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে এসব চরে আরও ভালো ফসল ফলানো সম্ভব। বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার আগেভাগেই তিস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকায় তাদের শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিতে হয়েছে। কৃষকরা ধারদেনা করে নদীর চরে আলু, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, পিঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছেন। এসব কৃষি পণ্যের ফলনও ভালো হয়েছে। তারা যদি বাজার দাম ভালো পায় তাহলে এবার লাভবান হবে বলে আশা কৃষকদের। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় তিস্তার চরে এ বছর বেশি চাষাবাদ হয়েছে। চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার প্রায় ৩০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর