শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে

দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে। বেড়েছে ডাল ও ছোলার দাম। কিছু সবজির দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

রাজধানীর রায়েরবাগ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা। গরুর মাংস আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এদিকে, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ ও দেশি মুরগির ১৯০ টাকা। 

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৪০-৬০, বেগুন ৬০-৮০, টমেটো ২০-৪০, শিম ৪০-৬০ ও করলা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ৬০-৭০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষের পাঙাশ-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকা, যা এখন ১৮০-২০০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়ার কেজি হয়েছে ২২০-২৫০ টাকা। যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেত। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১০০০ টাকায়। আগে ছিল ৫০০-৮০০ টাকা। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতলা ও মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা কেজি। যা আগে ২৮০-৩২০ টাকা ছিল। অন্যদিকে বাজারে দেশি প্রজাতির টেংরা, শিং, বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০-৮০০ টাকা। যা ছিল ৬০০-৬৫০ টাকার মধ্যে। তবে এসব মাছ চাষের হলে কিছুটা কম দামে মিলছে।

এদিকে নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম জানান, বেড়েই চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-১৫ টাকা বেড়েছে। খাদ্য ও বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগিরও দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া গত দুই সপ্তাহ আগেও কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১০০ টাকা। বর্তমানে পণ্যটির দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২০ টাকা কেজিতে।

নগরীর কাজীর দেউড়ি সিডিএ কাঁচা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করা হয় বিদ্যুতের সাহায্যে। এ পর্যন্ত চারবার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। যার কারণে মুরগির ডিমের দাম যেমন বেড়েছে তেমনিভাবে মুরগির বাচ্চারা দাম বেড়েছে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে আগে মুরগির খাদ্য আসত। তাও এখন কম আসছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে মুরগির ওপর।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ ৪৫ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও পেঁপে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ ১৭০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, শোল ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও কাতলা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ থেকে ২৬০, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ ও দেশি মুরগি ৫৩০ থেকে ৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া হাড়সহ গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। আর হাড়ছাড়া গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

নিত্যপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০, মোটা দানার মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ ও মানভেদে ছোলা ৮২ থেকে ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, পিঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭২ থেকে ৭৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর