মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার

এবার রসালো তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে রাঙামাটিতে। পাহাড়ে উৎপাদিত এসব তরমুজের চাহিদাও বেশি। দামও বেশি বলছেন ক্রেতারা। তাই হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে উৎপাদিত এসব তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলাগুলোয়। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, উপযুক্ত আবহাওয়া এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলায় এ বছর ঈর্ষণীয় ফলন হয়েছে তরমুজের। তাই লাভের মুখ দেখছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাঙামাটির বনরূপা বাজারের সমতাঘাটে বসেছে হরেক রকমের তরমুজের হাট। শুধু সাপ্তাহিক হাটে নয়, সব সময় জমজমাট রাঙামাটির তরমুজের হাট। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলা বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন নৌপথে দূর পাহাড় থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে এসব তরমুজ। সমতাঘাটে আসার পর বসে তরমুজের পাইকারি হাট। দূর-দূরান্ত থেকে আগত পাইকারি ক্রেতারা বিভিন্ন পরিবহনে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলাগুলোয়। চট্টগ্রাম থেকে আগত পাইকারি ব্যবসায়ী মো. ইউনুস মিয়া বলেন, রাঙামাটির তরমুজের চাহিদা বেশি চট্টগ্রামে। তাই প্রতি বছর রাঙামাটি থেকে আমরা তরমুজ সংগ্রহ করি। একই কথা জানান, আরেক তরমুজ ব্যবসায়ী ঝুনুক চাকমা। তিনি বলেন, বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে তরমুজ কিনে এনেছি, তাই খুচরা বাজারেও দাম একটু বেশি। কারণ কাপ্তাই হ্রদের পানির স্থর কমে যাওয়ায় নৌপথে তরমুজ শহরে আনতে অনেক টাকা খরচ হয়। রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক তপন কুমার পাল জানান, চলতি বছর রাঙামাটি জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আর প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া উপযুক্ত আবহাওয়া এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর