রাজধানীর অন্যতম বৃহত্তম শপিং মল ও বিনোদন কেন্দ্র বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটার বিরতিতে বসছে জমজমাট ইফতারের আসর। প্রতিদিন ইফতারের আগমুহূর্তে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতার মিলনমেলায় পরিণত হয় বসুন্ধরা ফুড কোর্ট প্রাঙ্গণ। এ সময় ঢাকায় বসবাসরত অনেক বিদেশিও ফুড কোর্টে আসেন। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসে ততই ইফতারের সময় ভিড় বাড়তে থাকে। মানুষের ভিড়ে চেয়ার-টেবিল না পেয়ে ফ্লোরে বসেও ইফতার করতে দেখা যায় অনেক ক্রেতাকে। মিরপুরের বাসিন্দা আবদুল হালিম এসেছেন বসুন্ধরা সিটিতে ঈদের কেনাকাটা করতে। রোজায় ইফতারের কোনো সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে শপিংয়ে এলে ইফতার নিয়ে কোনো চিন্তা করা লাগে না। নিরিবিলি, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এখানে শপিং ও ইফতার করা যায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটি ফুড কোর্টের সব দোকানের সামনে পেতে রাখা আছে রুচিসম্মত খাবার। যার যে আইটেম পছন্দ, সে আইটেম স্বল্পমূল্যে কিনতে পারছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম পরিবেশে সাজানো রয়েছে চেয়ার-টেবিল। সেখানে বসে ইফতার করছেন নানা বয়সের রোজাদার। কেউ চাইলে বসে খেতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নিয়েও যেতে পারেন। রোজার প্রথম দিন থেকেই বসুন্ধরা সিটি ফুড কোর্টের আট তলাজুড়ে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে বাহারি ইফতারের আয়োজন করা হয়। সব দোকান ইফতারি সামগ্রীতে ঠাসা। দেশি-বিদেশি সব ক্রেতার চাহিদা ও পছন্দের সঙ্গে তাল রেখে তৈরি করা হয়েছে ইফতারির আইটেম। প্যাকেজ (প্লেটপ্রতি) ইফতার ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এখানে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। ইফতারের এক ঘণ্টা আগে বুকিং না দিলে তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না বলে জানান কয়েকজন দোকানি। অনেকে সেখানে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে বাসায় ফেরার সময় ইফতার বাক্স নিয়ে যাচ্ছেন। যাদের বাসা দূরে, ইফতারের আগে ফেরা সম্ভব নয়, তারা সেখানেই ইফতার করছেন। বেস্ট অ্যান্ড গ্রিলের ১৫ আইটেমের ইফতার সেট মেন্যু ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান স্পাইসি ইফতার মেন্যু ৩৫০ টাকা বিক্রি করছে। দিল্লি স্পাইচি সেট মেন্যু ৩৫০ টাকা বিক্রি করছে। তাদের আইটেমের মধ্যে রয়েছে তেহারি, বিরিয়ানি ও নান-চিকেন সংবলিত প্ল্যাটার। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের বাহারি জুস কম দামে পাওয়া যায়।
বিক্রেতারা বলছেন, ইফতার করতে যারা আসেন, তাদের বেশির ভাগই শপিং করতে আসা ক্রেতা। এখানকার ইফতারির দাম সব রোজাদারের নাগালের মধ্যেই। মিডনাইট সান ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজের বিক্রেতা সোহাগ বলেন, তাদের দোকানে ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড রাইস, জিলাপি, আপেল, ছোলা, খেজুরসহ ১৪ আইটেমের ইফতার ৪০০ টাকায় পাওয়া যায়।