ঢাকায় মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ১০০ টাকা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় বাজারে সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
রাজধানী ঢাকায় বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম উঠেছিল ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এখন সে মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০০ টাকার সোনালি মুরগি এখন ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৭০-৫০০ টাকা কেজি দরে। রায়েরবাগ বাজারের মুরগি বিক্রেতা খালেক আহমেদ বলেন, মুরগির বাজার কমতির দিকে। করপোরেট কোম্পানিগুলোর ১৯০ টাকায় মুরগি বিক্রি করার ঘোষণার পর মুরগির দাম কমেছে।
চট্টগ্রামে রমজানের আগে লেবুর হালি ২০-৩০ টাকা ছিল। এখন ৪০, ৬০, ৮০ ও ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে মুরগির দাম কমলেও এ সপ্তাহে বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা। মুরগি ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা যে দামে মুরগি কিনছি তা থেকে ৫-১০ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি।’ নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ২২০ টাকা কেজি। কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৮০ ও দেশি মুরগি ৬৪০ টাকা কেজি। মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি এবং পুদিনাপাতা ২০ টাকা।
এদিকে রাজধানী ঢাকার শনিরআখড়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন বলেন, মাছের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তিনি জানান, বোয়াল এখন ৬০০ টাকা কেজি, তা কয়েক দিন আগেও ছিল ৭০০ টাকার বেশি। বড় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্প ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ২০-৫০ টাকা বেশি ছিল। বড় পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে। একই পদের ছোট মাছ দরদাম করে নিলে ২০০ টাকার নিচেও মিলছে। রাজধানীর রামপুরা সবজির বাজারে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, শসা, লেবুর দাম কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত। সবজি ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, ভালো মানের বেগুন রোজার প্রথম দিকে ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন ৭০ টাকা। ৮০ টাকার শসা এখন ৫০-৬০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। এ ছাড়া শসা প্রতি কেজি ৫০-৬০, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০, টমেটো ৪০-৫০, শিমের কেজি ৬০, করলা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউয়ের কেজি ৫০, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা, পটোল, ঢেঁড়স ৮০ টাকা করে, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০-৯০, গাজরের কেজি ৬০, কাঁচকলার হালি ৪০ টাকা। পিঁয়াজের কেজি ৩৫-৪০, বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০, ছোট রসুন (দেশি) ৬০-৭০, আদা ১২০ থেকে ১৩০, চায়না আদা ২০০ টাকা। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা শেষ সপ্তাহে ১৪০-১৪৫ টাকা উঠেছিল। আলুর কেজি ২০-২৫ টাকা। খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০, খোলা আটা ৬০, প্যাকেট আটা ৬৫, দুই কেজির প্যাকেট আটা ১৩০, দেশি মসুর ডাল ১৪০, ইন্ডিয়ান মসুর ১২০-১২৫, সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাজারে রোজা শুরুর পর থেকেই বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি শসা ৫০-৬০, গোল বেগুন ৮০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গাজর ৫০-৬০ ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বরবটি ১১০, ঝিঙা ও পটোল ৮০, শিম ৬০, মুলা ও ফুলকপি ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০, ঢেঁড়স ও তিতকরলা ৯০, লতি ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৭০ থেকে ১৮০, তেলাপিয়া ১৭০, কই ২৮০ থেকে ৩০০, রুই ও কাতলা ৩০০, শোল ৫৫০ ও গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পিঁয়াজ ৪০, চায়না রসুন ১৪০, দেশি রসুন ৬০, মিয়ানমারের আদা ১০০ থেকে ১১০ ও ইন্দোনেশিয়ার আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।