বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পূরণ হয়নি কোটা আর বাড়ছে না সময়

প্রথম হজ ফ্লাইট ২১ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নয় দফা সময় বাড়িয়েও সাড়ে ৭ হাজার কোটা ফাঁকা রেখেই আগামী ২১ মে থেকে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে হজের নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। নিবন্ধন বাকি আছে ৭ হাজার ৫০২ জনের। তবে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে চলতি মৌসুমে নতুন করে আর কোনো নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চলতি বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি আরব নিয়ে যাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস (সাউদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইনস সংস্থা ফ্লাই নাস। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের হজ চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীদের অর্ধেক বাংলাদেশের এয়ারলাইনস এবং বাকি অর্ধেক সৌদি আরবের এয়ারলাইনসগুলো বহন করবে। ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে ফ্লাইট শিডিউল জমা দিয়েছে এয়ারলাইনসগুলো। হযযাত্রীদের সৌদি পৌঁছাতে মোট ৩৩৫টি ফ্লাইটের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। হজ ফ্লাইট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে হজ কন্ট্রোল রুম ও হেল্প ডেস্ক চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, মোট ১৬৮টি ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের কোটার হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানো হবে। ২১ মে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবে বিমানের প্রথম ফ্লাইট। সর্বশেষ ফ্লাইটটি সৌদি যাবে ২২ জুন। ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-মদিনা ছাড়াও বিমান চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা, সিলেট-জদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মোট ১৬৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে অর্ধেক হজযাত্রী পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস (সাউদিয়া) ও ফ্লাই নাস। এর মধ্যে সাউদিয়া ১১৫টি ও ফ্লাই নাস ৫২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করবে। ২৫ মে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে উড়াল দেবে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট। ফ্লাই নাসের প্রথম ফ্লাইট উড়াল দেবে ২১ মে। সব এয়ারলাইনসের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। তবে কারিগরি ত্রুটি বা অনাকাক্সিক্ষত কারণে ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনসগুলো।

এদিকে গতকাল সচিবালয়ে ‘ই-হজ বিডি’ নামে মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন এবং হজ ও ওমরা সহায়িকার মোড়ক উন্মোচন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ সময় তিনি বলেন, নয় দফা সময় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে হজ নিবন্ধন। হাতে আর সময় নেই। কোটা পূরণ না হলেও হজ নিবন্ধনের সুযোগ আর বাড়বে না। হজ প্যাকেজের খরচও কমানো সম্ভব নয়। কোটা ফাঁকা রেখেই হজ ফ্লাইটের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত থেকেও হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা কমে গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের হজযাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। হজ নিবন্ধন সহজ করতে ‘ই-হজ বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন থেকে ঘরে বসেই হজ-ওমরার সব কার্যক্রম অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।

এ বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর