আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো আগামী ঈদুল আজহার যাত্রাকেও স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

গতকাল সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬৬০ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুনে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ জমা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল। রাস্তা ছিল ভালো। সব মিলিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজটের দুর্ভাবনা অতীতে যেটা ছিল এবার ঈদে সেটা হয়নি। বিশেষ করে বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানজটের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। অনেকটা যানজটমুক্ত ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। সামনের দিনে এ ধারাকে আরও ইতিবাচক করতে হবে। ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হবে গরুর হাট, পশুবাহী ট্রাক ও বৃষ্টি। কাজেই ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় যানজট নিয়ে যে জটিলতা ও দুর্ভাবনা এবার বলতে গেলে একেবারেই কম ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা নামক দুর্ভাবনা তেমন একটা কমেনি। এত সেতু, এত রাস্তা করা হলো তারপরও এখানে ইতিবাচক অগ্রগতি সেভাবে হচ্ছে না। তবে আমরাও হাল ছাড়ছি না। কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এটা অতিক্রম করাও সম্ভব। ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা আরও কমে আসবে।