ইউক্রেনে গতকাল বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। চলতি মাসে ইউক্রেনীয়দের ওপর এটিই বৃহত্তম ড্রোন হামলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনে ৯ মে ছুটির দিনের আগে ইউক্রেনজুড়ে তীব্র এ হামলা চালাল রুশ বাহিনী। রয়টার্স
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ৬০টি কামিকাজে ড্রোন পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এর মধ্যে কিয়েভে প্রবেশ করে ৩৬টি, যার সবকটিই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন ভবনে আঘাত করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাদ্যগুদাম রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে তিনজন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বিজয় দিবসে সাধারণত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে রাশিয়া। তবে এ বছর সেই আয়োজন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে তারা। পশ্চিমাদের দাবি, হয়তো নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ ও ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল সমরাস্ত্র হারানোর কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। এই সঙ্গে কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিজয় দিবসে উপহার দেওয়ার জন্য বাখমুত দখলের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
খবরে বলা হয় : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে রুশ অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াগনার নামে একটি ভাড়াটে বাহিনী। এর প্রধান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, রাশিয়া তার যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত গোলাবারুদ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে বাখমুত থেকে সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তবে রবিবার সেই ঘোষণা ফিরিয়ে নিয়েছেন ওয়াগনারপ্রধান। বলেছেন, তাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল অলেকজান্ডার সিরস্কি বলেছেন, রুশ বাহিনী এখনো ৯ মে’র মধ্যে বাখমুত দখলের আশা করছে। আমাদের কাজ এটি প্রতিরোধ করা।