শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেট

কঠোর কেন্দ্র, নতুন চাপে আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কঠোর কেন্দ্র, নতুন চাপে আরিফ

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করে দুশ্চিন্তায় আরিফুল হক চৌধুরী। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন, না স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন- এ নিয়ে রয়েছেন দোটানায়। এর মধ্যে সিটি নির্বাচন নিয়ে সিলেটের নেতা-কর্মীদের প্রতি দলের কঠোর বার্তায় নতুন করে চাপে পড়েছেন তিনি। সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সিটি নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের অংশ না নিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার এই নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবনায় পড়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান।

লন্ডন সফরকালে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন নিয়ে রহস্যজনক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমার নেতা (তারেক রহমান) আমাকে সিগন্যাল দিয়েছেন। কিন্তু সেটি রেড না গ্রিন সময়মতো জানবেন।’ ঈদের আগে দেশে ফিরেও তিনি একই মন্তব্য করেন। গত ১ মে সিলেট নগরীতে নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে শোডাউন করেন আরিফ। ওইদিন সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘২০ মে রেজিস্ট্রারি মাঠে নগরীর সব ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ ও মুরব্বিদের নিয়ে সমাবেশ করে আমার সিদ্ধান্ত জানাব। বিএনপি কেন নির্বাচনে যাচ্ছে না এবং কোন প্রেক্ষাপটে আমরা সিলেটে নির্বাচনে যাব- সেটা ওইদিনই আপনাদের জানাব।’ আরিফের ওই বক্তব্যে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিতটি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তারপরও তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তৃতায় প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি রহস্যের জালে জড়িয়ে রাখেন।

আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বিএনপির এশাধিক নেতা জানান, আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। নির্বাচনে প্রার্থী হলে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী। নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান ও নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্যই তিনি প্রার্থিতা ঘোষণা করতে সময়ক্ষেপণ করছেন। প্রার্থী হওয়ার পর দল থেকে তাকে বরখাস্ত করা হলেও বিজয়ী হলে সেই শাস্তি প্রত্যাহার হয়ে যাবে এমনটাও মনে করছেন আরিফ।

অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে দলের একটি সহানুভূতি তিনি আশা করছিলেন। কিন্তু গতকাল তারেক রহমানের সঙ্গে সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ভার্চুয়ালি বৈঠকের পর দুশ্চিন্তায় আরিফ। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে তারেক রহমান সিটি নির্বাচনে কোনো পর্যায়ের দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তারেক। এ ছাড়া তিনি দলীয় নেতা-কর্মীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করারও নির্দেশ দেন।

তারেক রহমানের এই কঠোর নির্দেশনার পর নির্বাচনে প্রার্থী হলে দলের নেতা-কর্মীরা আরিফুলের পাশে না থাকা ও ভোটের মাঠে কর্মী সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এখন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছেন আরিফুল হক চৌধুরী- এমনটা জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মহানগর বিএনপির এক নেতা।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

সর্বশেষ খবর