গণসংযোগ, মিছিল, পথসভায় জমে উঠেছে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্ঘুম সময় পার করছেন। তারা নানা কৌশলে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোট ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বহু কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নিজ দলের মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন গাজীপুরে। তারা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে দলবেঁধে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, গণফ্রন্ট- এ পাঁচটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছাড়াও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী লড়াই হবে অন্য মেয়র প্রার্থীদের। ২৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত তৃতীয় মেয়র হিসেবে কে বিজয়ের হাসি হাসবেন, তা দেখার জন্য সবাই আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান গতকাল নগরীর সালনা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি পরিকল্পিত ও দুর্নীতিমুক্ত নগর গড়তে চান। পরিকল্পনামাফিক উন্নয়ন করতে চান। তিনি বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে আনন্দ-উদ্দীপনা দেখছি, এতে আমি বিজয়ী হব বলে আশাবাদী। আজমত উল্লা খান নগরীর কাউলতিয়া, মাস্টারবাড়ী, ভিমবাজার, পোড়াবাড়ী এলাকায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পথসভা ও গণসংযোগ করেন। ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালান।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা নগরীর এরশাদনগর, কানাইয়া, নীলেরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদাত সরকার। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মো. মতিউর রহমান জানান, গতকালও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা গাজীপুরে এসে রোদ ও গরম উপেক্ষা করে দিনভর আজমত উল্লা খানের পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
অন্যদিকে গতকাল সকালে টঙ্গী পূর্ব থানার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহানুর ইসলাম রনি। এ সময় তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ একটি জায়গায় আছে। নির্বাচন কমিশন যদি এটি ধরে রাখতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের একটু হলেও আস্থা ফিরে আসবে। বিএনপিসহ বড় দলগুলো বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখে না। তাই নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনুক। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করেন। এলাকার উন্নয়নে তার অতীত অভিজ্ঞতা ও কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করে জনগণ তাকে ভোট দেবে বলে তার বিশ্বাস।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান নগরীর গাছা থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন। তিনি বলেন, জনগণ আমাকে তাদের খাদেম হিসেবে নির্বাচিত করলে সবাইকে নিয়ে গাজীপুরের পাহাড়সম সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।