সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগুনে শিশুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক শিশুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৌলভীরচরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর নাম ওসমা মনি (৭)। সে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৌলভীরচরের বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ ওসমানের মেয়ে।

স্থানীয় লোকজন জানান, মৌলভীরচরের মো. বাহাদুর মিস্ত্রির বসতঘরের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘরটিতে বাহাদুর মিস্ত্রি, তার ভাই মোহাম্মদ ওসমান ও মোহাম্মদ মিজানের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা থাকতেন। আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে বসতঘরের সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে ছাই হয় ওসমানের সাত বছরের মেয়ে ওসমা মনি। চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, বসতঘরটি বেড়া দিয়ে টিনের ছাউনি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডের সময় ওসমা মনি তার চাচির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। আগুনের তীব্রতায় চাচি তার শিশু সন্তান নিয়ে বের হয়ে এলেও ভুলে যান ওসমা মনির কথা। এতে আগুনে পুড়ে ওসমা মনির শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে মারা যাওয়া ওসমা মনির মা শাহিনা আকতার বলেন, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ১০ বছরের বড় ছেলে ও ২২ মাসের ছোট ছেলে তার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই সন্তান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সাত বছরের একমাত্র মেয়ে ওসমা মনি তার চাচির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে তিন ভাইয়ের থাকার জায়গার পাশাপাশি একটি শিশু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুর পরিবারকে শান্ত্বনা জানান। এ ছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আরও অনুদান প্রদান করা হবে।

সর্বশেষ খবর