বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
মিতু হত্যা মামলা

শেষ হলো প্রথম সাক্ষীর জেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শেষ হলো প্রথম সাক্ষীর জেরা

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের জেরা শেষ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এর মধ্য দিয়ে তোলপাড় করা এ মামলার প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। গতকাল তৃতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দীনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চট্টগ্রাম মহানগর পিপি আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালত ১১ জুন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রেখেছেন। ওই দিন সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জনের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া নেওয়া হবে।’ আদালতসূত্রে জানা গেছে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করার সময় দাবি করেন- মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা এজাহারটি তার হাতের লেখা নয়, যা বাবুল আক্তারের শত্রুপক্ষ লিখে দিয়েছেন। বাবুলকে টার্গেট করতেই মোশাররফকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিতুর হাতের লেখা যে চারটি পাতা দেওয়া হয়েছে তা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার শিট, যাতে শিক্ষকের কারেকশন করা বাংলা অর্থ পেনসিল দিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে। এ পাতাগুলো অনুশীলন খাতা থেকে ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। আলামত হিসেবে জব্দ করা তালেবান ও বেস্ট ক্যাপ সিক্রেট বই দুটি আগে কেউ পড়েনি। বইয়ের মলাটে যেসব বাক্য লেখা আছে সেগুলো বাবুলের বিদেশি বান্ধবীর নয়। ২৯টি মেসেজের বিষয়েও জেরা করেন বাবুলের আইনজীবীরা। জেরার মুখে মোশাররফ নিজের যুক্তি তুলে ধরেন। এর আগে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিক এক নারীর সঙ্গে বাবুলের পরকীয়া হয়। এর জেরে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরে বাবুল স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। ৩ লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

সর্বশেষ খবর