বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন রবিবার বয়কটে বিরোধীরা

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী রবিবার ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। কংগ্রেসসহ ১৯টি রাজনৈতিক দল বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ওই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তাদের আপত্তির কারণ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। এটা সংবিধানবিরোধী। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংসদের মূল অধিকর্তা।

বিবৃতিদাতা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে : জাতীয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, দক্ষিণ ভারতের ডিএমকে, মহারাষ্ট্রের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, বিহারের সংযুক্ত জনতা দল ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনার আরও কারণ, ওই দিন বিজেপির আদর্শগুরু হিন্দুত্ববাদী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিন এবং সে উপলক্ষেই নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন স্থির করা হয়েছে। সাভারকর ছিলেন ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমালোচক। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি ব্রিটিশ শাসকের পক্ষ নিয়েছিলেন।

যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলা হয় : ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতিকে কেন্দ্রীয় সরকার অপমান করছে। রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানো সংবিধানের প্রতি অবমাননা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, প্রত্যেকে তাদের বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করবেন। এই সঙ্গে তিনি এও জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তর করার যে স্মারক দিয়েছিলেন সেটা নয়া সংসদ ভবনে রাখা হবে। নগর উন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে সংসদ ভবনের বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সংসদের গ্রন্থাগার ভবনের উদ্বোধন করেন। এখন কেন মোদি করায় আপত্তি? বিরোধী দলগুলো বলছে, ওসব ভবন তো মূল সংসদ ভবন ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, বর্তমান সংসদ ভবনটি ১৯২৭ সালে নির্মিত। অনেক পুরনো হয়ে গেছে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসন সংখ্যা বাড়বে। তখন পুরনো ভবনে স্থান হবে না। নতুন ভবনে লোকসভার ৮৮৮ জন সদস্য এবং রাজ্যসভার ৩০০ সদস্য বসতে পারবেন। বর্তমানে লোকসভায় সদস্য ৫৪২ এবং রাজ্যসভায় ২৫০। নতুন ভবনে কোনো সেন্ট্রাল হল রাখা হয়নি। পুরনো ভবনে সেন্ট্রাল হল রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর