মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের কর ফাঁকি শুনানিতে হাই কোর্ট বেঞ্চের অপারগতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি মামলার শুনানি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে মামলার নথি পাঠানো হয়। এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দেবেন। এরপর ওই বেঞ্চে মামলার শুনানি গ্রহণ করা হবে। অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে হাই কোর্ট বেঞ্চ জানান, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান এ (ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর ফাঁকি) মামলায় বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন, কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী।

৭ মে হাই কোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এ পাঁচ বছরে গ্রামীণ কল্যাণের কাছে সরকারের পাওনা ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা। এর আগে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১০০ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাই কোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত নয়টি প্রতিষ্ঠানের কর-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল ও জরিপ দফতরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে ড. ইউনূসের কর ফাঁকি-সংক্রান্ত ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত ১২টি মামলা হাই কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ৯ মে এসব মামলা দ্রুত শুনানির জন্য হাই কোর্টের এ বেঞ্চে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।

সর্বশেষ খবর