১৩ বছরের কিশোরী জান্নাত। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শাহনাজ আক্তার সাবিহার বাসায়। ১ হাজার ৫০০ টাকা মাসিক বেতনে ওই বাসায় সে কাজ করছে প্রায় দেড় বছর ধরে। এই সময় জান্নাতের জন্য সাবিহার বাসা ছিল দোজখের মতো। ভাত বেশি খাওয়াসহ নানা অভিযোগ-অপবাদ দিয়ে জান্নাতকে অমানবিক নির্যাতন করতেন নার্স সাবিহা, তার স্বামী পলাশ মিয়া ও বোন রেহানা আক্তার রুমি। নির্যাতনের ঘটনায় গত সোমবার কোতোয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে আছেন সাবিহা ও তার পরিবারের অভিযুক্তরা। জান্নাত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার ছৈলাখেল গ্রামের মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। জাকির হোসেন জানান, নার্স সাবিহার বাড়ি তার এলাকায়। ওই সুবাদে গত বছরের জানুয়ারি মাসে জান্নাতকে গৃহকর্মী হিসেবে সিলেট নগরীর নবাব রোডের ১৪২ নম্বর বাসায় নেন সাবিহা। এরপর থেকে জান্নাতকে প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতন করতেন সাবিহা, তার স্বামী পলাশ ও বোন রুমি। ভাত বেশি খাওয়াসহ নানা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করতেন। চুন থেকে পান খসলেই জান্নাতের ওপর নেমে আসত নির্যাতন। রান্নার কাজে ব্যবহৃত খুন্তি গরম করে জান্নাতের শরীরে ছ্যাঁকা দিতেন সাবিহা। এসব ঘটনা জানালে তাকে প্রাণে মারারও হুমকি দিতেন তারা। এই সময়ের মধ্যে জান্নাতকে বাড়িতে আসতে না দেওয়ায় এই নির্যাতনের খবর জানতেন না পরিবারের কেউই। গত ঈদুল আজহার সময় শাহনাজ আক্তার সাবিহা গ্রামের বাড়িতে যান। এ সময় তার সঙ্গে যায় জান্নাতও। সুযোগ পেয়ে জান্নাত তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করলে সে নির্যাতনের কথা জানায়। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ‘ওই গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। তারা পলাতক রয়েছেন।’ অভিযুক্ত শাহনাজ আক্তার সাবিহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে