তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েকদিনেই নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে। গতকাল তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি কমা-বাড়ার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে ভাঙন বেড়েই চলছে। ফলে সেখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিস্তা ব্যারাজ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত বর্ষার শুরু থেকেই ভয়াল রূপ ধারণ করেছে তিস্তা নদী। তিস্তার তীব্র ভাঙনে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার শতাধিক চরের হাজারো পরিবার দিশাহারা হয়ে পড়েছে। চোখের সামনে বসতভিটা হারিয়ে কাঁদছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। তিস্তা আর ধরলা নদীবেষ্টিত লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি থেকে মুক্তি মিললেও নদীভাঙনের মুখে পড়েছে মানুষ। চোখের সামনে নদীর পেটে চলে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। অনেকেই রাস্তার পাশে বা বাঁধের ধারে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে লালমনিরহাট সদরের চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার বাহাদুরপাড়া, চন্ডিমারী, কুটিরপাড়, কালীগঞ্জের আমিনগঞ্জ, চর বৈরাতী, হাতীবান্ধার সিংগীমারী, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ফকিরপাড়া, সানিয়াজানের বাঘের চর, নিজ শেখ সুন্দর ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে সলেডি স্পার বাঁধসহ সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল রায় বলেন, পানি কমা ও বাড়ার কারণেই তিস্তার ১৭টি পয়েন্টে ভফুন দেখা দিয়েছে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়া বলেন, আমরা চরবাসী কিছুই চাই না। শুধু একটা মনের মতো বাঁধ চাই। যাতে আর ঘরবাড়ি ভাঙতে না হয়। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, তিস্তার পানি কমা ও বাড়ার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
শিরোনাম
- ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
- বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
- জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি
- আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
- বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
- ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’