রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডায়মন্ড ও দে ধাক্কা কিশোর গ্যাং গ্রুপের পাঁচজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই, মাদক, ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছিল ডায়মন্ড ও দে ধাক্কা নামে দুটি কিশোর গ্যাং। চক্র দুটির সদস্যদের ব্যবহার করে ওই এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন জুলফিকার আলী ও তার সহযোগীরা। গত শুক্রবার মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা হলেন- মো. জুলফিকার আলী, মো. হারুন অর রশিদ, মো. শামছুদ্দিন বেপারী, কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ও মো. সুরুজ মিয়া। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি চাপাতি ও সাতটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর টিকাটুলিতে র?্যাব-৩ এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, জুলফিকার ও তার সহযোগীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠে ডায়মন্ড ও দে ধাক্কা কিশোর গ্যাং গ্রুপ। গ্যাং দুটির সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিত। খুবই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতো তারা। কিশোর গ্যাং চালানোর জন্য গ্রেফতার ব্যক্তিরা জুলফিকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। ডায়মন্ড ও দে ধাক্কা গ্রুপের সদস্যদের দেশি-বিদেশি অস্ত্র সরবরাহ করতেন জুলফিকার। গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিয়মিত ছিনতাই, মাদক, ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র?্যাব জানতে পারে, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়, চাঁদ উদ্যান, লাউতলা, নবীনগর হাউজিং, বছিলা চল্লিশ ফিট, কাঁটাসুর, তুরাগ হাউজিং, আক্কাস নগর, ঢাকা উদ্যান নদীর পাড়, চন্দ্রিমা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, বছিলা হাক্কারপাড় এলাকাজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিত। পথচারীদের মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঠিকাদারের কাজ আটকে দিত।

 

সর্বশেষ খবর