আগের দিন একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল। যার কারণে পরের দিন ভিড় একটু কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই ছিল গতকাল অমর একুশে বইমেলার ২২তম দিনে। এদিন বিকাল ৩টায় মেলার দ্বার উন্মোচনের পর থেকে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়। তবে ফাগুনের বেরসিক বৃষ্টি বাদ সাধে বইয়ের উৎসবে। হঠাৎ বৃষ্টির হানায় প্রকাশকদের কপালে হতাশার ভাঁজ ফুটে ওঠে। সন্ধ্যার দিকে লোকজনের আনাগোনায় মেলায় আবার প্রাণ ফিরে আসে। এ দিনের মেলা ছিল ছিমছাম। শান্ত পরিবেশেই ঘুরে ঘুরে বই কিনেছেন বইপ্রেমীরা। সন্ধ্যায় কথা হয় রাজধানীর ডেমরা থেকে আসা বইপ্রেমী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসব আসব করে আসা হচ্ছিল না। বিকাল ৪টায় রওনা দিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় মেলায় এসে পৌঁছলাম। প্রিয় লেখকদের পছন্দের বইগুলো কিনলাম। আবার একদিন এসে কিছু বই কিনে নেব।
ননীগোপাল চক্রবর্তীর বই ‘স্পর্শহীন হাতের ছোঁয়া’ : বইঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে কবি ননীগোপাল চক্রবর্তীর ‘স্পর্শহীন হাতের ছোঁয়া’। ১১১টি কবিতা দিয়ে সাজানো এ বইটির কবিতায় মানবিক প্রেম, প্রকৃতি আর যাপিত জীবনের নানা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গতকাল বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, মো. জেহাদ উদ্দিন। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইঘর প্রকাশনীর ২৬০-২৬১ নম্বর স্টলে।
শিশির-ঝরা কবিতা : বইমেলায় চৈতন্য প্রকাশন বের করেছে আয়ারল্যান্ড প্রবাসী কবি ও লেখক সাজেদুল চৌধুরী রুবেলের কাব্যগ্রন্থ ‘শিশির-ঝরা কবিতা’। এতে আছে ৫৩টি কবিতা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে চৈতন্যর ১০৫ ও ১০৬ নম্বর স্টলে। এর আগে গত বছর প্রকাশিত হয়েছিল রুবেল রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘ফেরাবো না তোমাকে’। রুবেলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামে। ২২ বছর ধরে তিনি আয়ারল্যান্ডে বাস করছেন। সেখানে তিনি আয়ারল্যান্ড পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।