দেশব্যাপী মাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মাজার ভাঙচুর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে করা আবেদনটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন। এর আগে দেশব্যাপী মাজার/রওজা, খানকা শরিফের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাজারে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা ও ধর্মীয় স্থাপনায় যেকোনো ধরনের সহিংসতা ভাঙচুর রোধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর ৯ সেপ্টেম্বর একটি আবেদন দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শাহ্ আলম অভি। দৃশ্যমান ব্যবস্থা না দেখে পরদিন রিটটি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) আইনবিষয়ক সম্পাদক এ আইনজীবী। রিট আবেদনকারীর তথ্যমতে, গত রবিবার পর্যন্ত সারা দেশে ছোটবড় মিলে ৬৯টি মাজারে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিক সাজাওয়ার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী তৌফিক সাজাওয়ার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাজার রক্ষা ও ধ্বংস প্রতিরোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। মাজার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, ধর্মসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।