বাংলাদেশ সেন্টারের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। তিনি বলেন, সে সময় তাদের প্রতি ন্যক্কারজনক ও আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়েছে। গতকাল লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সেন্টার থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় আমার সঙ্গে এবং হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও আক্রমণাত্মক আচরণ করা হয়। এমনকি ডেপুটি হাইকমিশনারের গাড়ির দরজা খুলে তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেন্টারে বর্তমানে সর্বসম্মত কোনো কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট নেই। দ্রুত এজিএম আহ্বান এবং কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের দ্বিপক্ষীয় নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করে সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠন করে দীর্ঘদিনের বিবাদ পেছনে ফেলে একটি নতুন ও কার্যকর বাংলাদেশ সেন্টার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা এটি চান না তারাই মিটিং পণ্ড করার জন্য তৎপর ছিলেন।
যেহেতু কোনো সর্বসম্মত কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট নেই, তাই আমি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এই জরুরি সভার আহ্বান করেছিলাম।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সেন্টারের বিরোধ নিরসনে উত্তর লন্ডনের কেনসিংটনে সেন্টারের নিজস্ব ভবনে সেন্টারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও সেন্টারের চেয়ারম্যান আবিদা ইসলাম। তবে সেখানে তিনি সেন্টারের কয়েকজন নেতার দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।