দেশের সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী রবিবার এ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে বিইআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বর্তমান দর ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে কমবেশি ২৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে পেট্রোবাংলা এবং দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো সার কারখানার গ্যাসের দাম ৪০ টাকা করার আবেদন করেছিল। ৬ অক্টোবর সেই প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
শুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছিলেন, গ্যাসের দাম প্রশ্নে সবদিক বিবেচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কৃষিকে বিবেচনায় নিতে হবে। আবার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির খরচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ করা হবে। ৬ মাস (অক্টোবর-মার্চ) পুরোমাত্রায় (২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬ মাসের মধ্যে এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন হারে, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৩০ মিলিয়ন হারে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৩৮ টাকার মতো। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকা দরে। আর বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি) ডিলারদের কাছে বিক্রি করছে ২৫ টাকা দরে। এতে ট্রেড গ্যাপ কেজিতে ১৩ টাকা ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।