বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ১৫ শতাংশ করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের অন্তত ১২টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে এসব কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া। শ্রমিক রোজিনা বেগম জানান, তারা সাত দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। শ্রমিকদের জন্য ৪ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি ছিল ১৫ শতাংশ। এ ছাড়া আরও ছয়টি দাবিসহ ২৫ হাজার টাকা। হা-মীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপসহ প্রায় ৪০টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সাত দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর মধ্যে ৩০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আশুলিয়া এলাকায় স্ব-বেতনে ছুটি বা শ্রমিকরা চলে গেছেন এমন কারখানার সংখ্যা ১৫টি। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা কারখানার মধ্যে, এ জে সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, আল মুসলিম অ্যাপারেলস, ট্রাউজার লাইন লিমিটেড, শারমীন গ্রুপ, ডেকো গ্রুপ, প্রীতি গ্রুপ, ছেইন অ্যাপারেলস, নিউ এইজ, নিট এশিয়া, হা-মীম গ্রুপ, বান্দু ডিজাইন, মেডলার অ্যাপারেলস লিমিটেড, নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেড, নাসা বেসিক লিমিটেড, ডেকো গার্মেন্টস লিমিটেড ও টাউজার লাইন লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলন্স। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর কর্মকর্তারা জানান, নানা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নাসা ও ট্রাউজার লাইন পোশাক কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ব্যান্ডো ডিজাইন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। হা-মীম ও নিট এশিয়ার শ্রমিকরা এরই মধ্যে কারখানা থেকে বেরিয়ে গেছে। নিউ এইজ, ডেকো, আল মুসলিম, এথিকালসহ আরও ১২টি কারখানার শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে কর্মবিরতি পালন করছেন। শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা করছেন না। তবে বর্ধিত বেতনে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট নন। তাদের ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবি। তাই তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন। অনেক শ্রমিক আবার কারখানা থেকে বের হয়ে গেছেন। এ ছাড়া কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে আরও কিছু কারখানা।