চট্টগ্রামে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৭ সালে। সে অনুযায়ী ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জায়গা নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে দুই একর জায়গাও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেখানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন স্পোর্টস এরেনা তৈরির ঘোষণা দেয়। তার পর পার হয়ে গেছে সাড়ে সাত বছর। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই হাসপাতালেরর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। অথচ মেয়াদ শেষ হলেও হাসপাতালের কাজ এখন পর্যন্তও শুরু হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালটি আদৌ হবে কি না? চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে ‘ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট’ (পিএফডি) শীর্ষক অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় দুই একর জমিতে ২০০ শয্যার একটি করে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করে। এর পর সিভিল সার্জন কার্যালয় বাকলিয়া মৌজার কর্ণফুলী সেতু সংলগ্ন একটি সরকারি জায়গা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এর প্রশাসনিক অনুমোদনও দেয়। কিন্তু ভূমির একটি অংশে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্ণফুলী রিভার ফ্রন্ট রোড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন করায় তারা আপত্তি তোলে। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর নির্ধারিত ভূমি থেকে শূন্য দশমিক ৫৪ একর বাদ দিয়ে ১ দশমিক ৪৬ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে অনাপত্তি দেয় চউক। এরই মধ্যে তৈরি করা হয় নকশাও। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য দেওয়া হয় অর্থ বরাদ্দ। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসন এই জায়গায় স্পোর্টস এরেনা তৈরির ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি সিভিল সার্জন কার্যালয় জেলা প্রশাসককে ‘প্রস্তাবিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের ভূমিতে স্পোর্টস এরেনা তৈরি না করার জন্য’ অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়। জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা আন্দোলন চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চট্টগ্রামে সরকারি উদ্যোগে একটি শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার। পরে একটা শিশু হাসপাতাল করার জন্য জায়গা নির্ধারণ হওয়ার কথাও শুনেছি। কিন্তু এটা যদি অন্য কোনো সংস্থা ব্যবহার করতে চায়, তাহলে সেটা অন্যায় ও বেমানান। এটা জনদাবির বিপরীত। শিশু হাসপাতালের জায়গায় শিশু হাসপাতালই করা হোক। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে যেন সেখানেই শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, শিশু হাসপাতালের জায়গায় এরোনা কমপ্লেক্স করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই।
শিরোনাম
- মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
- অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
- রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ আজ
- ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
- মোহাম্মদপুরে বিদেশি রিভলভারসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তা বদলি
- নভেম্বরের প্রধমার্ধে প্রবাসী আয় ২৩.১ শতাংশ বেড়েছে
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
- তিতুমীর কলেজের সামনে ও আমতলীতে ককটেল বিস্ফোরণ
- রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা
- রায়ের আগে ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার
- কঙ্গোয় তামা–কোবাল্ট খনিতে সেতু ধসে নিহত ৩২ শ্রমিক
- ভারতকে লজ্জায় ফেলে পাকিস্তানের সহজ জয়
- লেবাননে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা : নিহত ১
- ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
- ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা