ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, সংস্কার শেষে নির্বাচন ও পতিত ফ্যাসিবাদের বিচারসহ ১১ দফা ঐকমত্য হয়েছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আর আমার বাংলাদেশ পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। সংলাপে ১১ দফা বিষয়ে দুই দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়।
এক. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই কল্যাণকর বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। দুই. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। তিন. ভোটাধিকারসহ সব নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা। চার. প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পাঁচ. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা। ছয়. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। সাত. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা না বলা। আট. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকা। নয়. দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সংবিধানে বিদ্যমান শরিয়াহবিরোধী আইন বাতিল এবং ইসলামসহ সব ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য পরিহার করা, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনো কথা বা বক্তব্য না দেওয়া। দশ. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা। এগারো. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কার্যকরী সংসদ ও জনমতের সঠিক প্রতিফলনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা।