জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস। এর আগে সোমবার তিন ঘণ্টা সেবা বন্ধ রেখেছিল তারা। সরকারের কাছে বকেয়া সাড়ে ৭ কোটি টাকা আদায়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। এতে বিপাকে পড়েছেন কিডনি
রোগে আক্রান্তরা। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস নিতে হয়। হাসপাতালে সেবা বন্ধ থাকায় ডায়ালাইসিস করাতে পারছি না। বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ডায়ালাইসিস করানোর মতো সামর্থ্য আমার নাই। আমাদের দয়া করে বাঁচতে দেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক ঘণ্টায় প্রায় ৩০ জনের ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্যানডোরের দুই সেন্টার মিলে ২০০ মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৭০টি। স্যানডোরের কর্মীরা বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। টাকা না পাওয়ায় তিন মাস ধরে আমাদের বেতন হচ্ছে না। বেতন না পাওয়ায় নার্স টেকনোলজিস্টরা আর কাজ করতে চাচ্ছেন না। সামনে ঈদ, কর্মদিবস কম আছে, বেতনের আশ্বাস না পাওয়ায় কেউ কাজ করছে না।’ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজিস্টদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী ডায়ালাইসিস করতে পারেন না। ডায়ালাইসিস শুরু করে ৯০ শতাংশ রোগী অর্থাভাবে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। এ রোগীর প্রায় ৫০ শতাংশ দুই বছরের মধ্যে মারা যান। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীর মাত্র ১ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পান। স্যানডোরের ম্যানেজার নিয়াজ খান জানান, বাড়ি ভাড়াসহ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। তাই তাঁদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন।’