সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার স্ত্রী ফজলুতুননেসাসহ আটজনের ১৪১ ব্যাংক হিসাব ও ১১টি বিও নম্বরের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত এসব অস্থাবর সম্পদ অরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। আদালতের আদেশে আরও যাদের ব্যাংক হিসাব ও বিও নম্বরের শেয়ার অবরুদ্ধ হয়েছে তারা হলেন- গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুল সোবহান, কামরুলের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, নুর-ই হাফজা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান। দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে দেখা যায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বোর্ড পরিচালক এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একই পরিবার সাতটি পদ গ্রহণ করেছেন। পরে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জাল চুক্তিনামা, বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা উত্তোলন করেছেন। এর মাধ্যমে এসব অর্থ তাদের নামের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
সেজন্য দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়েছে।