সারাদেশে আরও ২১ জন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন, মারা গেছেন ১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠা ১৩ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এ বছর করোনায় মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এর মধ্যে ১১-২০ বছর বয়সি একজন, ২১-৩০ বছর বয়সি একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সি চারজন, ৬১-৭০ বছর বয়সি চারজন, ৭১-৮০ বছর বয়সি ছয়জন, ৮১-৯০ বছর বয়সি একজন, ৯১-১০০ বছর বয়সি দুজন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ : দেশে ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এসব রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৪ জন রয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩০ জন। চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।