আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও অবৈধভাবে আটক করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিঙ্ক (ইউটিএল), ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
গতকাল ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস এবং সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মানবিক সহায়তাবাহী নৌবহরের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ নৌযানে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাহায্যকর্মী রুহি লোরেনসহ সব মানবাধিকারকর্মীকে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পাদন শেষে নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ৭০ হাজার নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।’ তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো যাতে নিরাপদে গাজায় পৌঁছতে পারে, সেজন্য ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আটক মানবাধিকারকর্মীদের নিরাপত্তা ও নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ রাজধানীর সায়েন্সল্যাব থেকে র্যালি বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও পশ্চিম শাখার সভাপতি হাফেজ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চলছে। যখন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও মানবিক সংগঠনগুলো সাহায্য নিয়ে যেতে চায়, তখন সেগুলো পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো যেখানে তাদের সহযোগিতা করার কথা, সেখানে বিরোধিতা করছে। আমরা এমন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’ তিনি বলেন, ‘ধর্মবর্ণনির্বিশেষে সব মানুষ ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশে আছে। ফিলিস্তিন স্বাধীন হবেই ইনশাল্লাহ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ জুলাই চত্বর পর্যন্ত র্যালি করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। মুখপাত্র আশরেফা খাতুনের সঞ্চালনায় র্যালি শেষে সমাপনী সমাবেশে সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘ফিলিস্তিন একটি অনুভূতির নাম। আজাদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনিদের মতোই লড়াইয়ে শামিল থাকব। জুলাই শাহবাগে শুরু হয়ে নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার হয়ে একদিন ফিলিস্তিনেও পৌঁছাবে।’