মেহেরপুরে এ বছর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের পর মাঠ সবুজ করলায় ভরে উঠেছে। নতুন কৃষিপ্রযুক্তি মাচা ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কম খরচে বেশি ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
কৃষক খোকন শেখ জানান, করলা এখন জেলার অন্যতম লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে। বিঘাপ্রতি করলা আবাদে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে এক বিঘা থেকে ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছি। আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছি।
কৃষক উম্মত আলী বলেন, করলার জন্য এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে। যত বেশি পানি হবে তত করলা ভালো হবে। তবে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ভাইরাসে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শুধু কৃষক নয়, লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। প্রতিদিন পাবনা, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসায়ীরা এসে করলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পথে পুলিশি হয়রানির কারণে পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে।
পাবনার ব্যবসায়ী পলাশ মণ্ডল বলেন, প্রতিদিন সকালে এসে মেহেরপুর থেকে করলা কিনে নিয়ে যাই। পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি পেলে আরও লাভবান হতাম।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে করলার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক দামও পাচ্ছেন ভালো। এ বছর জেলায় প্রায় ৮৯৩ হেক্টর জমিতে বারি করলা-৩, হাইব্রিড টিয়া, বুলবুলি ও অন্যান্য হাইব্রিড জাতের করলার আবাদ হয়েছে। কৃষক জানান, করলার বাম্পার ফলন অন্য ফসলে হওয়া লোকসান পুষিয়ে দিচ্ছে।