পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণের হজমকারী এনজাইম পেপেন রয়েছে। এর পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
পেঁপের বৈজ্ঞানিক নাম Carica Papaya. মেক্সিকো এবং সেন্ট্রাল আমেরিকায় এর জন্ম হলেও ক্রমে ক্রমে বিশ্বময় পেঁপে সমাদৃত। হজমকারী হিসাবে পেঁপে খুবই জনপ্রিয়। এতে পেপেইন (Papain) নামে প্রাপ্ত উপাদান প্রোটিনকে হজম করে সহজেই এবং সমগ্র পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। ওজন কমাতে পেঁপে বেশ সহায়ক। পাকা পেঁপে অর্শ্বরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে উপকারী।
গবেষকদের মতে, লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধী। পুষ্টি বিবেচনায় কমলার চেয়ে পেঁপেতে ৩৩% ভিটামিন 'সি' এবং ৫০% বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। অন্যদিকে, আপেলের চেয়ে পেঁপেতে তের গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' এবং দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। আপেল ও কমলার চেয়ে পেঁপেতে ভিটামিন 'ই'-এর পরিমাণও চারগুণ বেশি।
পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কানসাস স্টেট ইউনির্ভাসিটির এক গবেষণা তথ্যে জানা যায়, ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে। ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ খাবার খুবই প্রয়োজন।
শরীরের মেদ ঝরাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় পেঁপে অপরিহার্য। একদিকে যেমন কম ক্যালরি আছে, অন্যদিকে এতে বিদ্যমান আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে অনন্য। এছাড়া বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আর নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা ধীর হয়ে।