বিয়ের কিছু বছর পর পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়। সকল দম্পতির মাঝেই এই অভিযোগটা কমবেশি থাকে। বিশেষ করে স্বামীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীদের প্রতি। আবার স্ত্রীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্বামীর প্রতি। আর ফলাফল হয় পরকীয়া! সংসার ভাঙুক বা না ভাঙুক, সম্পর্ক ঠিকই ভাঙে। যেসব কারণে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় সেগুলো জেনে নিন-
নিজের যত্ন না করা
সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা। নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুৎসিতও!
রোমান্টিকতার চর্চা না করা
বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোমান্টিক ডেট, রোমান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে। অথচ বিয়ের পরই এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে।
সম্পর্ককে সময় না দেয়া
খুব ব্যস্ত আপনারা দুজন? একসাথে বসে এক কাপ চা খাবার, একটু নিরিবিলি কথা বলার অবসর মেলে না? সবসময়েই আশেপাশে থাকে কেউ না কেউ? মানসিক আকর্ষণ হারিয়ে যাবার এটাও একটা কারণ, ভাবনা শেয়ার করতে না পারা।
সবসময় একসাথে কাটানো
একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সাথে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সাথে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।
সবসময় আগোছালো থাকা
আচ্ছা, প্রতিদিন আপনার ঘরে পরার পোশাকটি কি খেয়াল করে দেখেছেন কখনো? বেশির ভাগ মানুষই ঘরের মাঝে নিজেকে গুছিয়ে রাখেন না। ভুলে যান যে প্রিয় মানুষটি আপনাকে এই ঘরের মাঝেই দেখছে। তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখুন। একটা বিচ্ছিরি পোশাকের চাইতে একটু টিপটিপ পোশাক পরুন, চুলটা আঁচড়ে রাখুন। দেখতে সুন্দর দেখালে আকর্ষণটা অটুট থাকবে চিরকাল।
খিটখিটে হয়ে যাওয়া
একটা জিনিস সব সময় মনে রাখবেন যে, তিনি আপনার স্ত্রী বা স্বামী হলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার আপনি রাখেন না। বরং তার সাথেই করতে হবে সবচাইতে ভালো ব্যবহার।