মা হওয়ার স্বপ্ন প্রতিটি নারীরই থাকে। হোক ছেলে বা মেয়ে সন্তান, একটি সুস্থ্য শিশুই চান সবাই। কিন্তু বর্তমানে নানান রকম বিষাক্ত উপাদান, পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অসচেতনতার কারণে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুর জম্ম হার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে গর্ভপাতের সংখ্যা। তাই সুস্থ সন্তান পেতে হলে আগে থেকেই কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো এড়িয়ে চললে অনেক ক্ষেত্রেই সুস্থ্য সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
প্রক্রিয়াজাত খাবারকে 'না' : প্রক্রিয়াজাত খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ এতে থাকে নানা রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। বর্তমানে বেশির ভাগ শিশুই শরীরে প্রায় ৩০০ ধরনের ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এর বেশিরভাগই মায়ের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে শিশুর শরীরে প্রবেশ করছে।
কসমেটিকসের ব্যবহার বর্জন : প্রতিদিনই নারীরা বাইরে যাওয়ার সময় লিপস্টিক, কাজল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে। একই সঙ্গে বডি স্প্রে আর পারফিউম তো আছেই। কিন্তু প্রসাধনী এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে এ থেকে নানান রকম বিষাক্ত ক্ষতিকর উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। আর এটিই ভবিষ্যত সন্তানের সুস্থতাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়। তাই ভবিষ্যত সন্তানের সুস্থতার কথা ভেবে কসমেটিকসের ব্যবহার কমাতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ভবিষ্যৎ সন্তানের সুস্থতার জন্য বয়স কুড়ির পর থেকেই ওজনটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ওজন ভবিষ্যতের সন্তানের সুস্থতার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন : অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয় যা ভবিষ্যৎ সন্তান ধারণের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ ২০১৫/শরীফ