আজকাল অনেকেই অতিরিক্ত চুল পড়ার কথা বলে থাকেন। এর পেছনে অনেকেই বিরূপ আবহাওয়াকে দায়ী করে থাকেন। অতিরিক্ত রোদ ও ধুলোবালির কারণে বেশি করে চুল পড়াকে দায়ী করেন অনেকেরই। তবে আসল সমস্যার মূলে ভুক্তভোগী নিজেই। কিছু কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে যে অনেকেরই অতিরিক্ত মাথার চুল পড়ে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। কারণ এসব বাজে অভ্যাসগুলো চুলের ফলিকল একেবারেই নষ্ট করে দেয়। তাহলে সেই বাজে অভ্যাসগুলো কি তা জেনে নেওয়া যাক :
১. মাথায় গরম পানি ব্যবহার বা স্টীম বাথ করলে চুলের ফলিকল নষ্ট হয় এবং চুল গোঁড়া থেকে নরম হয়ে ঝড়ে পড়ে।
২. অতিরিক্ত স্টাইলের কারণে অতিরিক্ত স্ট্রেইটনার বা কার্লার ইত্যাদির ব্যবহারের কারণে চুল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করেও অনেকের অতিরিক্ত চুল পড়ে।
৩. কারো চুল পড়ার পেছনে অতিরিক্ত ডায়েটিংও কারণ হতে পারে। কারণ চুল তার পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না ডায়েটিংয়ের কারণে। সুতরাং ডায়েটিং করলেও প্রোটিন সঠিক পরিমাণে নিতে হবে।
৪. ভেজা চুল আঁচড়ানো এবং ঝাড়া চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোঁড়া এমনিতেই নরম থাকে। তাই ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল পড়া স্বাভাবিক।
৫. অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাঁধার কারণেও চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। যখন অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাঁধা হয় তখন চুলের গোঁড়ায় অনেক বেশি টান পড়ে যার ফলে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
৬. ব্যথানাশক ওষুধ, জন্মবিরতিকরণ পিল ইত্যাদি ওষুধ সেবনের ফলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
৭. রোদে চুল খোলা রেখে ঘোরার কারণেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ সূর্যের অতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মির কারণে চুলের ফলিকলের ক্ষতি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ