অফিসে, হলে, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে, হোস্টেলে, মার্কেটে ইত্যাদি নানান জায়গায় কমন টয়লেট ব্যবহার করতে হয় আমাদের। আর লজ্জার বিষয় হলেও সত্য যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি মানুষ এই কমন টয়লেট ব্যবহারের আদব-কায়দা জানেন না। দেখা যায়, টয়লেটে ঢুকে এমন কিছু কাজ করে ফেলেন যা অন্যদের সামনের তাদেরকে লজ্জায় ফেলে দেয়। সেইসঙ্গে আবার নিজের স্বাস্থ্যকেও ফেলে দেয় হুমকির মুখে। তাই কমন টয়লেট ব্যবহারের কয়েকটি আদবকেতা চলুন জেনে নেওয়া যাক :
১. কমন টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু মাথা খাটান। সার বাঁধা বুথ থাকে এসব কমন টয়লেটের বেলায় চেষ্টা করুন যে বুথে মানুষ আছে তার পাশের বুথেই ঢুকে না পড়তে। সম্ভব হলে একটি বুথ বাদ দিয়ে তৃতীয় বুথটি ব্যবহার করুন।
২. টয়লেটে ঢুকেই কমোডের সিটে বসে পড়বেন না। কমোডের সিটে ভালো করে টয়লেট পেপার বিছিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। ব্যবহার শেষে টয়লেট পেপারগুলো তুলে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিন।
৩. ব্যবহারের পর অতি অবশ্যই কমোড ফ্ল্যাশ করুন। প্রয়োজনে ২/৩ বার ফ্ল্যাশ করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিষ্কার হয়। মেঝেতে প্রস্রাব বা ময়লা কিছু পড়লে সেটা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন, এই টয়লেট আপনার পরেও অন্যদের ব্যবহারযোগ্য রাখতে হবে।
৪. বের হওয়ার সময় বুথের দরজা অবশ্যই লক করুন। এবং একইসঙ্গে কমোডের ঢাকনা নামিয়ে বের হবেন।
৫. কমন টয়লেটে রাখা সাবান দিয়ে কখনো হাত ধোবেন না। লিকুইড সোপ থাকলে তা দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় ব্যাগে ছোট্ট বোতলে লিকুইড সোপ রাখলে।
৬. অনেক কমন টয়লেটে বিশেষ করে হোটেল বা মার্কেটের কমন টয়লেটগুলোতে একজন সাহায্যকারী রাখা হয়। তাদের সাহায্য নিলে টিপস দিতে ভুলবেন না।
৭. কমন টয়লেটে কখনো বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেবেন না। টয়লেট গল্প করার স্থান নয়।
৮. কমন টয়লেটে বসে ফোনে কথা বলবেন না।
৯. টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই শরীরে একটু পারফিউম ছিটিয়ে তারপর বের হবেন।
১০. ভেজা হাত নিয়ে কখনোই টয়লেট থেকে বের হবেন না। হাত ভালো করে ধুয়ে, মুছে, শুকিয়ে তারপর বের হোন।
১১. টয়লেটে আজেবাজে কথা বা নিজের ফোন নম্বর লেখার মতো নিচু মানসিকতার পরিচয় দেবেন না।
১২. চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব নিঃশব্দে টয়লেট ব্যবহার করতে। আর টয়লেটে প্রবেশের সময় ম্যাটে পা মুছে তারপর প্রবেশ করুন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ জুন ২০১৫/শরীফ