মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগেন কমবেশি প্রায় সকলেই। কারো রয়েছে মাইগ্রেনের সমস্যা, কেউ কেউ অতিরিক্তি মানসিক চাপের কারণেও মাথাব্যথায় ভোগেন। আবার অদ্ভুত শোনালেও দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়লেও মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। কারণ যাই হোক না কেন, মাথাব্যথা হুট করে শুরু হয়ে যায় এবং এর তীব্রতার কারণে কোনো কাজই ঠিকমতো করা যায় না। মাথা ব্যথা কখনো মাথার এক পাশে আবার কখনো উভয় পাশেই প্রচন্ড চাপ অনুভূত হয়ে ব্যথা হয়। অনেকে দুচোখে ঝাপসা দেখে থাকেন এই সময়। খুবই যন্ত্রণাদায়ক এই মাথাব্যথার সমস্যা দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে নিমেষেই। নিজে মাথাব্যথা দূরীকরণের কার্যকরী তিনটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো :
লবণ দিয়ে আপেল খান : অদ্ভুত শোনালেও এই কাজটি অনেক বেশি কার্যকরী। বিশেষ করে তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যথার সমস্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এর জুড়ি নেই। পুরো একটি আপেল সামান্য লবণ ছিটিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন বেশ দ্রুতই মাথাব্যথার যন্ত্রণা কমা শুরু করবে। এর কারণ হচ্ছে এই লবণ ছড়ানো আপেল আমাদের দেহের অ্যাসিড-অ্যাল্কালাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও শুধু সবুজ আপেলের ঘ্রাণ শোঁকার মাধ্যমেও মাথাব্যথা কমে আসে অনেকখানি।
আদা খান এবং আদা চা পান করুন : খুব দ্রুত মাথাব্যথার মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা দূর করতে আদা ব্যবহার করুন। আদায় রয়েছে 'প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস' যা অ্যাসপিরিন এবং ব্যথানাশক ঔষধে ব্যবহার করা হয়। তাই মাথা ব্যথা শুরু হওয়া মাত্র আদার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে চিবানো শুরু করুন। এতে ব্যথা উপশম হবে দ্রুত। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা সামান্য ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু দিয়ে পান করতে পারেন আদা চা। এতেও দূর হবে মাথা ব্যথা বেশ দ্রুতই।
কুসুম গরম লেবুপানি : লেবু খুবই কার্যকরী ক্ষমতা সম্পন্ন একটি উপাদান যা দ্রুত মাথাব্যথা উপশমে সহায়তা করে। কারণ লেবুতে রয়েছে মস্তিষ্ক শিথিল করার দারুণ ক্ষমতা ও আপেলের মতোই দেহের অ্যাসিড-অ্যাল্কালাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। কুসুম গরম পানিতে একটি গোটা লেবুর অর্ধেকটা রস চিপে নিয়ে পান করে নিন। এছাড়াও লেবুর খোসা কেটে ব্লেন্ড করে বা বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে কপালে লাগালেও মাথাব্যথার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। সূত্র : top10homeremedies
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জুন ২০১৫/শরীফ