নাক দেখে মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে পারবেন। কিভাবে? আপনার যদি জানা থাকে নাকের গড়ন কেমন হলে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হবে, তাহলে বুঝে যেতে পারেন সেই মানুষটির চরিত্র সম্পর্কে। নাকের রকমারির উপরে নির্ভর করে মানসিকতার পার্থক্য। সামনের মানুষটির নাকের দিকে একটু তাকান। সোজা, চওড়া, বাঁকা, চ্যাপ্টা না মাংসল? নাকটা ঠিক কেমন? তবে মনে রাখবেন শুধু নাক দেখেই একটা মানুষকে বোঝার চেষ্টা করাটা ভুল। কারণ, লক্ষণশাস্ত্র সব সময়ে মেলে না। তবে একটা ধারণা অবশ্যই পাবেন।
সোজা নাক:
ভালো দিক— ১) অন্যদের সবসময় কাজে উৎসাহ জোগায়।
২) নিজেকে এবং নিজের চারপাশ গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসেন।
৩) যে কোনো কাজে আগ্রহ ও উদদ্দীপনা থাকে।
৪) এরা ঠাণ্ডা মেজাজের হয়।
খারাপ দিক—
১) প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গীকে প্রতারিত করতে পারে।
২) কোনো কাজেই প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায় না।
৩) নিজে ভুল করলে অন্যকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা থাকে।
বাঁকা নাক
ভালো দিক— ১) এরা যে কোনো ব্যাপারেই বিদ্রোহী হয়।
২) সব ব্যাপারেই ব্যতিক্রমী ভাবনা তুলে ধরে।
৩) যে কোনো কিছুই যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে।
খারাপ দিক—১) প্রেমে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) মানুষ চিনতে ভুল করে।
৩) নিজের কাজ অপরের উপরে চাপিয়ে দিতে ভালবাসে।
মাংসল নাক
ভালো দিক— ১) সব বিষয়েই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
২) কোনো কাজের দায়িত্ব পেলে দ্রুত শেষ করতে পারে।
৩) পছন্দের কাজ পেলে মন দিয়ে এবং উৎসাহ নিয়ে করে।
খারাপ দিক— ১) দ্রুত কাজ করলেও তাতে প্রচুর ভুল থাকে।
২) সব ব্যাপারেই একরোখা।
৩) অপরকে ভুল বোঝার প্রবণতা থাকে।
চওড়া নাক
ভালো দিক— ১) এদের মধ্যে জন্মগতভাবে নেতা হওয়ার লক্ষণ থাকে।
২) অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হওয়ায় অপরকে দিয়ে কাজ করাতে পারে।
৩) কঠিন সময়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে।
খারাপ দিক— ১) প্রিয়জনদের প্রতি দুর্বল মনোভাব পোষণ করে থাকে।
২) কিছুতেই অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারে না।
৩) নিজের দোষ অপরের উপরে চাপিয়ে দিতে পারে।
চ্যাপ্টা নাক
ভালো দিক— ১) এদের মধ্যে মায়া, দয়া বেশি হয়ে থাকে। ৎ
২) এরা অপরকে ভালোবাসতে পারে।
৩) যে কোনো কাজে উদ্যমী হয়।
৪) আশাবাদী স্বভাবের হয়।
খারাপ দিক— ১) কাজের মাঝপথে গিয়ে অনেক সময়ে খেই হারিয়ে ফেলে।
২) মানুষ চিনতে ভুল করে আঘাত পায়।
৩) আগ-পিছ না ভেবে যে কোনো কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সূত্র: এবেলা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ