নারীর কুমারিত্ব নিয়ে আজন্মকাল ধরে সমাজে বেশকিছু ভ্রান্ত ধারণা চলে আসছে। এটা নিয়ে সমাজে প্রচুর মিথও তৈরি হয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে এই ধারণাগুলো আজও মানুষের মনে গেথে আছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ব্যখ্যা করলে এসবের আদৌ কোনো মানে হয় না।
কুমারিত্ব নিয়ে ওই ধারণাগুলো অর্থহীন হলেও আজও সমাজে ভীষণভাবে মেনে চলা হয়। এমনই কয়েকটি বিষয় প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হলো-
• সতীচ্ছেদ : সতীচ্ছেদ হলো একটি পাতলা ঝিল্লি যা যোনির সামনের দিকেই থাকে। বৈজ্ঞানিকভাবে, এর থাকা বা না থাকার উপরে কোনো নারীর ‘সতীত্ব’ নির্ভর করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ধারণা আজও মানুষের মনে রয়ে গেছে।
• কুমারিত্ব হারানো : এ বিষয়ে দুটি কথা রয়েছে- প্রথমত, কুমারিত্ব হারানো টার্মটি আদতে ভুল। দ্বিতীয়ত, এই ধারণা কেউ তৈরি করতে পারে না যে, একজন নারী তার সতীত্ব হারিয়েছেন কি না! সতীচ্ছেদ ছিন্ন হওয়া যৌনতা ছাড়াও অনেক উপায়েই ঘটতে পারে। সাইকেল চালনা, ব্যায়াম, নাচ- বিবিধ কারণ থাকতে পারে সতিচ্ছেদ ছিন্ন হওয়ার পিছনে।
• আত্মরতি : আজও মনে করা হয়, আত্মরতি করলেই কেউ কুমারিত্ব হারায়। কিন্তু একথা ঠিক নয়। আত্মরতি এক নারীর আত্মোপলব্ধির পথ- একথা পোস্টফেমিনিস্টরা সগর্বে বলে থাকেন।
• সতীত্ব হারানো যন্ত্রণাময় : সতিচ্ছেদ ছিন্ন হওয়ার ঘটনাটিকে যন্ত্রণাময় বলে বর্ণনা করে আসছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। ব্যাপারটি আপেক্ষিক। প্রথম সঙ্গমে ব্যথা পাবেন কি পাবেন না, তা নির্ভর করে সময়, মানসিকতা, শারীরিক গঠন এবং অবশ্যই প্রাক-সঙ্গম আচরণের উপরে। সুতরাং...
• কুমারি মেয়েই বেশি আকর্ষণীয় : আসলে নারীকে নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে পুরুষতন্ত্র যুগ যুগ ধরে প্রচার করেছে কুমারিত্বের জয়গান। নারীর শরীর-মনের উপরে তার ‘স্বামী’-র অধিকার নিরঙ্কুশ- একথাকে প্রতিষ্ঠা দিতেই কুমারী মেয়েদের অধিকতর আকর্ষণীয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- একজন বিবাহিতা নারী কি সুন্দর নন?
বিডি প্রতিদিন/ ০৩ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম