আমাদের ভেতর অনেকেই আছেন যারা নিজের অনুভূতি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার কেউ কেউ আছেন নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ব্যপারগুলি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করেন। কিন্তু কাউকে বলতে পারেন না। তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপদেশ হল আপনারা নিয়ম করে ডায়েরি লিখুন৷ এতে করে মন অনেক হাল্কা থাকবে৷
আজ আপানাদের সামনে ডায়েরি লেখার পজিটিভ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করবো-
টু ডু লিস্ট
আগামীকাল কী কী করণীয় তা খুব সহজেই লিখে রাখা যায় ডায়েরির পাতায়৷ ফলে কোনও বিশেষ কাজ মনে রাখতে সুবিধা হয়৷ ফলে ডায়েরি লেখা সবসময়ই ভালো অপশন৷
বিশেষ মুহূর্ত
কলেজের শেষ দিন হোক বা বিয়ের দিন ক্লিক ফিভারে সকলে জর্জরিত! কেন? শুধুমাত্র স্মৃতি উল্টে দেখার জন্য৷ সেক্ষেত্রে কোনও বিশেষ মুহূর্ত লিখে রাখলে ভবিষ্যতে তা মনে করে স্মৃতি রোমন্থন করা যায় খুব সহজেই৷ আর এটা তো স্মৃতি মনে করার সবচেয়ে সাবেকি উপায়৷ বিশেষ মুহূর্তের ছবি দিয়ে ফটো ক্যাপশনে ডায়েরি লেখার ট্রেন্ডও এই মুহূর্তে খুব ইন৷
রাইটিং স্কিল
অভ্যাস করেই অভ্যাস হয়৷ তাই ছোট থেকে ডায়েরি লেখার অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে লেখনী মজবুত হয়৷ বাংলা হোক বা ইংরেজি, লিখতে জানলে সারাজীবনই সুবিধা পাওয়া যায়৷ ছাত্রছাত্রীদের যে সুবিধা হয়ই তা বলা বাহুল্য৷
ভুল
জীবনে ফিরে দেখার সবচেয়ে ভালো উপায় ডায়েরি৷ সেক্ষেত্রে কী কী ভুল হয়েছে সেটা ডায়েরি দেখে বোঝা যায়৷ আর যখন আবার সেই ধরনের কোনও মুহূর্তের চৌকাঠে আপনি দাঁড়াবেন তখন কীভাবে রিয়াক্ট করলে অন্তত ভুল হবে না সেটা ফিরে দেখতে পারবেন সহজেই৷
সাফল্য
যে কোনও মানুষই নিজের সাফল্য দেখে আনন্দ পায়৷ প্রথম হাউসক্যাপ্টেন হওয়া হোক কিংবা মাধ্যমিকে স্টার পাওয়া বা প্রথম চাকরী পাওয়া যে কোনও সাফল্যই পাতা উল্টে পড়তে বেশ লাগে৷ তাছাড়া কোনও দুঃখের মুহূর্তে পুরানো সাফল্য মনে অনেকটা পজিটিভিটি আনে৷ তাই ডায়েরি লেখা অবশ্যই ভালো অভ্যাস৷
বেস্ট ফ্রেন্ড
যে কথাটা আপনি আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিকে বলতেও দ্বিধা করছেন সেই কথাও খুব সহজেই ডায়েরিতে লিখে রাখা যায়৷ যে কোনও সিক্রেট খুব সহজেই শেয়ার করা যায় ডায়েরির সঙ্গে৷ কারন এক্ষেত্রে গোপন কথাটি একেবারে গোপনে৷ তাই ডায়েরি নিঃসন্দেহে আপনার প্রিয়
বন্ধু৷
থেরাপি
যে কোনও খারাপ মুহূর্ত ডায়েরির পাতায় লিখলে মন অনেক হালকা লাগে৷ তাছাড়া খারাপ লাগার কথা লিখে ফেললে মন খারাপের পরিমাণটাও অনেকটা কমে৷ এমনকি সুদিনেও কফি হাতে আধ ঘণ্টা ডায়েরির সঙ্গে কাটালে ভালো ফিলিংস হয়৷ এটা একরকমের মন ভালো রাখার থেরাপিও বলতে পারেন৷
বিডি-প্রতিদিন/১২ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর