নারীর যৌন অনীহা শারীরিক কিংবা মনস্তাস্তিক উভয় কিংবা যেকোন একটি কারনে হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই বেশিরভাগ নারীর এ সমস্য খুবই ক্ষনস্থায়ী হয়ে থাকে। নারীর যৌন আকাঙ্খা কম থাকাকে যৌন দুর্বলতা অথবা "ফিমেল সেক্সুয়াল এ্যরুসাল ডিজওর্ডার" বলা হয়। অনেক নারী আপনা থেকেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু যারা পারেন না তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবার প্রয়োজন পড়তে পারে। যৌন অনীহা নারীর ক্ষেত্রে সচরাচর দেখা যায়। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এমনটি খুব কমই দেখা যায়।
শারীরিক যে সব কারন থাকতে পারেঃ
১।রক্ত স্বল্পতা, যা নারীদের মাসিক ঋজচক্রকালীন রক্তে আয়রনের হার হ্রাস পাওয়া থেকে প্রকট হয়।
২।মদ্যপানে আসক্তি।
৩।মাদাকাসক্তি।
৪।ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ দেখা যায়।
৫।সন্তান প্রসব। সন্তান প্রসবের পরবর্তী কিছু সময়কাল নারীর যৌন আকঙ্খা সম্পুর্ন হারিয়ে যায়। এটি শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে প্রায় সরাসরি জড়িত। বেশির ভাগ নারী সন্তান জন্মদেবার পর মানসিক ভাবে অনেকটা বিক্ষিপ্ত থাকেন তাই তারা শারীরিক মিলন নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ পাননা।
৬।কিছু ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া।
৭।Hyperprolactinaemia - পিটুহিটারী গ্রন্থির অতিরিক্ত ক্রিয়াশীলতায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
মনস্তাস্তিক কারন সমুহঃ
১।অবসাদ কিংবা বিষন্নতা
২।দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া; যখন নারী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে তখন এ্যডরিনাল (মুত্র) গ্রন্থি ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোন সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোনই নারী শরীরে যৌন আকাঙ্খা উৎপন্ন করে।
৩।উদ্বিগ্নতা।
৪।শিশুসুলভ মনোভাবের পুর্নজন্ম।
৫।পুর্বের ধর্ষণ কিংবা যন্ত্রনাদায়ক শারীরিক সম্পর্কের শিকার হওয়া।
৬।স্বামীর সাথে প্রচন্ড মানসিক বিবাধ থাকা।
যৌন অনীহায় নারীর করনীয়ঃ
কোন নারী যদি অনুমান করতে পারে যে তার ভেতর যৌন অনীহা কাজ করছে তাহলে সে নারী ডাক্তারের সাথে দেখা করে তার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসের নারী কর্মীও এই ব্যপারে সেই নারীকে সহযোগীতা করতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর