সম্পর্কে সৎ থাকা, সঙ্গীর বিশ্বাস ধরে রাখা যেকোন সম্পর্কের প্রথম আর প্রধান শর্ত। কিন্তু অনেক সময়ই এই বিশ্বাস ভেঙ্গে অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখা যায় নারী বা পুরুষ উভয়কেই। পরকীয়া বা স্ত্রীকে লুকিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভ্যেস নতুন নয়। শুধু যে একজন পুরুষই পরকীয়া করেন তা কিন্তু নয়। বহু ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে এর উল্টোটাও ঘটে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের এই যুগে একটি সুখের দাম্পত্যে জীবনে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করছে অতি সহজেই। স্বামী বা স্ত্রী যদি কেউ অন্য কারও প্রতি বা পরকীয়ায় আসক্ত হয় তাহলে যতই লুকনোর চেষ্টা চলুক না কেন কিছু লক্ষণে তা প্রকাশ পেয়েই যায়।
মনোবিজ্ঞানীরা সে রকম কয়েকটি লক্ষণ চিহ্নিত করেছেন। আজ আমাদের পাঠকদের জন্য সে লক্ষন গুলোই তুলে ধরা হল-
১. স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কেউ পরকীয়ায় আসক্ত থাকলে প্রথমেই ব্যপারটি জানিয়ে দেয় ফোন। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল নিয়ে কাটানো, যেখানে যাচ্ছে সঙ্গে ফোনটি রাখছে (এমনকী বাথরুমেও), পার্টনারের সঙ্গে ফোনের পাসওয়ার্ড শেয়ার না করতে না চাওয়া।
২. নানা অছিলায় একটা ঘরে একসঙ্গে সময় কাটানো এড়িয়ে যাওয়া। একা থাকতে ভালোবাসা।
৩. একটা মিথ্যে কথা ঢাকতে হলে একগুচ্ছ মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়। সেরকমই সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি একটা তুচ্ছ প্রশ্নের উত্তরে একগুচ্ছ বাহানা দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তাহলে বোঝা যায় তিনি কোনও কিছু ঢাকতে চাইছেন।
৪. মেসেজ চটজলদি ডিলিড করে দেওয়ার প্রবণতা।
৫. কোনও একটি পোশাক তিনি আগে পছন্দ করতেন না। হঠাত্ সেই পোশাকটিই প্রিয় হয়ে গেল।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর