থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হার্টের গতি নিয়ন্ত্রণ করে, দেহের বৃদ্ধি ও বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড-এর সমস্যা দুই ধরনের হয়, হাইপো থাইরয়েডিজম ও হাইপার থাইরয়েডিজম। যখন থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ কম হয় তখন তাকে হাইপো থাইরয়েডিজম বলে। হরমোন নিঃসরণ বেশি হলে তাকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলে। দুইটাই শরীরে জন্য ক্ষতিকর।
আর থাইরয়েড সমস্যা সমাধান দিতে পারে সয়াবিন। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে প্রোটিনের পরিমাণ ৪৩ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট থাকে ৩০ গ্রাম। ফ্যাট ২০ গ্রাম। সয়াবিনে প্রচুর পটাসিয়াম থাকায় হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি উপকারী।
সয়াবিন হার্টের পক্ষে খুবই ভাল, এটি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। সয়াবিনে থাকা স্বাস্থ্যসম্মত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো প্রাণিজ প্রোটিনের সমতুল্য সয়াবিন।
ডালের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে সয়াবিনে।
সয়াবিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খনি, যা হার্ট ও লিভারের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সয়াবিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা প্রোটিন সেরিব্রাল কর্টেক্সের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, যা মানুষের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়।
সয়াবিনে প্রচুর লেসিথিন থাকে যা মস্তিষ্ক গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ডায়েটে সয়াবিন রাখা জরুরি, পরবর্তীকালে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে। রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রেও সয়াবিন খাওয়া উপকারী।
সয়াবিন বিভিন্ন ধরনের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে যা ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা দূর করতে সক্ষম। সয়াবিনে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফোলেট রয়েছে যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস দূর করতে সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সয়াবিন বিশেষ উপকারী। টাইপ টু ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তির জন্য সয়াবিন সহায়ক। সূত্র : জি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/৪ জুন, ২০১৭/ফারজানা