৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:১২

গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি প্যারামেডিক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি প্যারামেডিক্স
দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান পরিবর্তনে কমিউনিটি প্যারামেডিক্সের গুরুত্ব রয়েছে। তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। ফলে গ্রামের বাসিন্দাদের অদক্ষ সেবাদানকারীর উপর নির্ভর করতে হয়। এর অবস্থার উত্তরণে প্রশিক্ষত ও দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিক্সের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
 
শনিবার গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কমিউনিটি প্যারামেডিক্সের গুরুত্ব শীর্ষক জাতীয় পরামর্শক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব আলী নূর, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার বিপাশা হোসেন, আস্থার সিনিয়র ম্যানেজার ইন্টারভেনশন মো. রেজাউল করিম, রাড্ডা-সিপিটিআই'র অধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার এবং আস্থা’র টিম লিডার ফজলে রাজিক প্রমুখ।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী নূর বলেন, তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি প্যারামেডিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগ হবার পরে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু কমিউনিটি প্যারামেডিকদের উচিত হবে রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা করা। 
 
মুজিবুল হাসান বলেন, সারা বাংলাদেশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং একই সঙ্গে একে শক্তিশালীকরণে সুইস কন্টাক্টের সহায়তার কথা তুলে ধরেন।
 
দক্ষ মানব সম্পদের অভাব বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে একটি প্রধান উদ্বেগ। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ৮.৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী  নিয়োজিত রয়েছেন। 
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৪৪.৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার তার চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচিতে (২০১৭-২০২২) মানবসম্পদে অপ্রতুলতা হ্রাস করার উপর জোর দিয়েছে।
 
এই কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে এ্যাচিভিং সাসটেইনেবিলিটি টুওয়ার্ডস হেলথকেয়ার এক্সেস (আস্থা) প্রকল্পটি ২০১১ সালে চালু করা হয়েছিল। আস্থা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যুব সম্প্রদায়ের জন্য একটি প্রফেশনাল ট্রেনিং চালু করে যা ‘কমিউনিটি প্যারামেডিক্স ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ নামে পরিচিত। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিক্স তৈরি করে, যারা প্রসূতি ও শিশুস্বাস্থ্য (এমসিএইচ) এবং পরিবার পরিকল্পনা (এফপি)-এর উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে।
 
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর